তুষারপাত দেখতে গিয়ে হিমাঙ্কিত আবহাওয়ায় বরফের নিচে আটকা পড়ে ২১ জন নিহত হয়েছেন। উত্তর পাকিস্তানের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা মুরিতে এই ঘটনা ঘটেছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ভারি তুষারপাতে সহস্রাধিক গাড়ি আটকে থাকার পর পাকিস্তান সরকার মুরিকে দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমেদ এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ১৫-২০ বছরের ইতিহাসে মুরিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক পর্যটক যাওয়ার কারণে এই সংকট তৈরি হয়েছে। পাহাড়ি স্টেশনে প্রায় এক হাজার গাড়ি আটকে আছে। ১৬ থেকে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
উদ্ধার অভিযানে সেনাবাহিনীর পাশাপাশ প্যারা মিলিটারি ফোর্স নামানো হয়েছে।
শুক্রবার রাতে সরকার পর্যটকদের ভ্রমণ আটকাতে মুরি স্টেশনে যাওয়ার সকল রাস্তা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান শোক প্রকাশ করেছেন। ‘মর্মান্তিক মৃত্যু’ উল্লেখ করে তিনি ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এমন ট্রাজেডি এড়াতে কঠোর নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী হিল স্টেশনে ভ্রমণ না করার জন্য পর্যটকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার মুরিতে তুষারপাত শুরু হয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে হাজারো পর্যটক সেখানে ভিড় করে। ব্যাপক সংখ্যক পর্যটকের কারণে অনেকে রাস্তায় আটকা পড়ে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হিল স্টেশনে ১ লাখের বেশি গাড়ি প্রবেশ করেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আটকেপড়া তুষারাবৃত গাড়ির মধ্যে শিশুসহ পর্যটকদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে গেছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়নি। তবে এর মধ্যে ইসলামাবাদ পুলিশের একজন সাব ইন্সপেক্টর রয়েছেন।
ঠাণ্ডা কিংবা কার্বন মনোঅক্সাইডের কারণে মৃত্যু হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে মেরিল্যান্ড ইউনিভার্সিটির সংক্রমক রোগবিশেষজ্ঞ ডাক্তার ফাহেম ইউনুস বলেন, পড়ে থাকা কোনো গাড়ি বরফে আবদ্ধ থাকার কারণে অবরুদ্ধ সাইলেন্সার থেকে কার্বন মনোঅক্সাইড নির্গমনের ফলে যাত্রীরা মারা যেতে পারে।
পাকিস্তানের কর্মকর্তারা মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু জানাননি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।